রাজশাহী অঞ্চলের শতভাগ ফেল করা ৩৫টি কলেজের এমপিও বন্ধ হতে পারে। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে অংশ নেওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় ৩৫টি কলেজের কেউ পাস করতে পারেনি। এসব কলেজের ২২৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন। যদিও কলেজগুলো থেকে গড়ে ১৫ জন শিক্ষক থাকলেও কোন কোনটি মাত্র একজন বা দুজন পরীক্ষার্থী ছিল। কলেজগুলোতে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় ঠিকমত আসে না শিক্ষার্থীরা।
এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে জানিয়ে - শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন- 'মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।' রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবছর নাটোরে সবচেয়ে বেশি ১১টি কলেজের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল করেছে।
রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁয় ৫টি করে, পাবনা ও জয়পুরহাটে ৩টি করে, বগুড়ায় ২টি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। এসব কলেজের মধ্যে ৬টিতে মাত্র একজন এবং ১২টিতে দুইজন পরীক্ষার্থী ছিল। বেশিরভাগ কলেজই এমপিওভুক্ত নয়।
জানা গেছে-রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছী কলেজের ১৫ জন শিক্ষক। এই কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় চারজন অংশ নিয়েছিল। তারা সবাই ফেল করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাস হচ্ছে কি না তা দেখতে তিনি কলেজে এসেছেন। তার ভাষায়, 'বেশিরভাগ দিন কলেজে কোনো ক্লাস হয় না। শিক্ষকও আসেন ন না. ছাত্রও না।'
মৌগাছী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইন্তাজ আলী বলেন, 'এই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা শামসুজ্জোহা বেলাল মাদক ও নারী কেলেঙ্কারি মামলায় একাধিকবার - গ্রেফতার 'হয়েছেন। তার সময়েই । কলেজে মাদকের আস্তানা গড়ে ওঠে। এর প্রভাবেই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। একই চিত্র পবার বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজেও। সেখানে শিক্ষক ১৮ জন, পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩৬ জন সকলেই ফেল করেছেন।
রাজশাহীর পবার বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফছার আলী বলেন, 'এসব কলেজে সাধারণত কম মেধাবীরা ভর্তি হয়। তারা লেখাপড়ায় মনোযোগী নয়, অনেকেই কর্মজীবনে জড়িয়ে পড়ে। ব তাই উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় না, ফলে পরীক্ষায় ফলাফলও খারাপ হয়।'
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ,ন ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, 'অনেক কলেজ রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক প্রভাবে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার জন্য কলেজ স্থাপন করেন, কিন্তু শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলেন না। বোর্ডের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা এসব প্রক্রিয়া সহজ করে দেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।
এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে জানিয়ে - শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন- 'মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।' রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবছর নাটোরে সবচেয়ে বেশি ১১টি কলেজের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল করেছে।
রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁয় ৫টি করে, পাবনা ও জয়পুরহাটে ৩টি করে, বগুড়ায় ২টি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। এসব কলেজের মধ্যে ৬টিতে মাত্র একজন এবং ১২টিতে দুইজন পরীক্ষার্থী ছিল। বেশিরভাগ কলেজই এমপিওভুক্ত নয়।
জানা গেছে-রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছী কলেজের ১৫ জন শিক্ষক। এই কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় চারজন অংশ নিয়েছিল। তারা সবাই ফেল করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাস হচ্ছে কি না তা দেখতে তিনি কলেজে এসেছেন। তার ভাষায়, 'বেশিরভাগ দিন কলেজে কোনো ক্লাস হয় না। শিক্ষকও আসেন ন না. ছাত্রও না।'
মৌগাছী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইন্তাজ আলী বলেন, 'এই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা শামসুজ্জোহা বেলাল মাদক ও নারী কেলেঙ্কারি মামলায় একাধিকবার - গ্রেফতার 'হয়েছেন। তার সময়েই । কলেজে মাদকের আস্তানা গড়ে ওঠে। এর প্রভাবেই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। একই চিত্র পবার বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজেও। সেখানে শিক্ষক ১৮ জন, পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩৬ জন সকলেই ফেল করেছেন।
রাজশাহীর পবার বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফছার আলী বলেন, 'এসব কলেজে সাধারণত কম মেধাবীরা ভর্তি হয়। তারা লেখাপড়ায় মনোযোগী নয়, অনেকেই কর্মজীবনে জড়িয়ে পড়ে। ব তাই উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় না, ফলে পরীক্ষায় ফলাফলও খারাপ হয়।'
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ,ন ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, 'অনেক কলেজ রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক প্রভাবে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার জন্য কলেজ স্থাপন করেন, কিন্তু শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলেন না। বোর্ডের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা এসব প্রক্রিয়া সহজ করে দেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।
আলিফ হোসেন